ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে আট হাজার নারী পুরুষ পেলেন এমপি জিল্লুর রহমানের ঈদ উপহার বেশি করে খাদ্য উৎপাদন করতে পারলে কারো কাছে মাথা নত করতে হবে না- কৃষিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিরা যেসব সুবিধা থাকেন বা পান আমাকে তিরস্কারকারীদের ভালবাসা দিয়ে স্মার্ট মৌলভীবাজার বিনির্মাণ করবো-নৌকা মার্কার প্রার্থী জিল্লুর রহমান রাজনগর কলেজ পয়েন্টে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে বিশাল জনসভা মৌলভীবাজার-৩ আসনে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নেই বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমানের নির্বনাচনী পথসভা ও উঠান বৈঠক কুসামবাগ অনুষ্ঠিত জিল্লুর রহমানকে কাছে পেয়ে উচ্ছাসিত চা শ্রমিকরা: বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগ জিল্লুর রহমানের সমর্থনে রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও কর্মীসভা মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার-১ আসন নৌকা পতনের আহ্বান জাতীয় পার্টি প্রার্থীর

ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রথম পাতা » অনিয়ম-দুর্নীতি » ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মঙ্গলবার ● ৩০ মে ২০২৩


ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলাগ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান এ মামলা দায়ের করেন।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) রেজওয়ানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে, ২০২২ সালের ১ আগস্ট শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎসহ বেশ কিছু অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক।

অভিযোগগুলো হলো- অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট। শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন। শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।

প্রসঙ্গত, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়েছে। এরপর সেই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন ২৮ জন কর্মী। এই ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে ড. ইউনূসকে তলবও করেছিলেন হাইকোর্ট।

এছাড়া ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। যেখানে অভিযোগ করা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৫:২৭ ● ২৩৫ বার পঠিত




আর্কাইভ