ব্রেকিং নিউজ
রাজনগরে কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন এমপি জিল্লুর রহমান মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ৩ হাজার কৃষকের মধ্যে কৃষি উপকরণ বিতরন মৌলভীবাজারে আট হাজার নারী পুরুষ পেলেন এমপি জিল্লুর রহমানের ঈদ উপহার বেশি করে খাদ্য উৎপাদন করতে পারলে কারো কাছে মাথা নত করতে হবে না- কৃষিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিরা যেসব সুবিধা থাকেন বা পান আমাকে তিরস্কারকারীদের ভালবাসা দিয়ে স্মার্ট মৌলভীবাজার বিনির্মাণ করবো-নৌকা মার্কার প্রার্থী জিল্লুর রহমান রাজনগর কলেজ পয়েন্টে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে বিশাল জনসভা মৌলভীবাজার-৩ আসনে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নেই বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমানের নির্বনাচনী পথসভা ও উঠান বৈঠক কুসামবাগ অনুষ্ঠিত জিল্লুর রহমানকে কাছে পেয়ে উচ্ছাসিত চা শ্রমিকরা: বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগ

প্রশাসন নিয়ে ‘সন্দেহ গভীর হলে’ প্রার্থী ‘হবেন না’ আরিফ

প্রথম পাতা » জাতীয় » প্রশাসন নিয়ে ‘সন্দেহ গভীর হলে’ প্রার্থী ‘হবেন না’ আরিফ
শনিবার ● ১৩ মে ২০২৩


সিলেট সিটি নির্বাচনসিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা অতিউৎসাহ দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ‘প্রশাসনের অতিউৎসাহী কর্মকাণ্ডে সন্দেহ গভীর রূপ নিলে’ নির্বাচনে প্রার্থী না হতে পারেন বলেও জানিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।

শনিবার দুপুরে সিলেটের একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে রোটারেক্ট ক্লাব অব সিলেট সিটি আয়োজিত একটি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আরিফুল হক। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি নির্বাচনের আগে প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা অতিউৎসাহী হয়ে হুমকিধামকি দিচ্ছেন। ব্যাপক ধরপাকড় করা হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তাকে বদলিও করা হচ্ছে। এগুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করারই ইঙ্গিত।

আরিফুল হক বলেন, যদি আমি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াই তাহলে বুঝতে হবে প্রশাসনের কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডের প্রতি সন্দেহ গভীর রূপ নিয়েছে।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে ভোটের প্রতি আস্থা ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন গণহারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।

এবারের সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে শুরু থেকেই গুঞ্জন রয়েছে। এমন গুঞ্জনের মধ্যেই ১ মে নগরীতে একটি অনুষ্ঠানে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে কোন সিটি নির্বাচনে আমার দল বিএনপি অংশ নেবে না। তবে সিলেটের প্রেক্ষাপটে আমরা নির্বাচনে যাবো।

আরিফের এ বক্তব্যের পর দলের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আরিফকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে বিএনপির বিভিন্ন মহল থেকে নানামুখী তৎপরতা শুরু হয়। অপরদিকে, আরিফও নিজের হিসেব মেলাতে শুরু করেন।

২০ মে নগরের রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ করে প্রার্থিতার ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার ঘোষণা দিয়েছেন আরিফুল হক। তার আগে শনিবার প্রশাসনের ভূমিকার অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রার্থী না হতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন।

এসময় ইভিএম নিয়ে সমালোচনা করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ইভিএমের সাথে নগরের মানুষজন একেবারেই অপরিচিত। নির্বাচনের ছয়মাস আগে ইভিএম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিলো। অথচ ভোটাররা এখনো পর্যন্ত ইভিএম সম্পর্কে কিছুই জানে না। ইভিএমে ভোট স্বচ্ছ হবে না। কারসাজি করা হবে।

তার জন্য বিএনপি বা আওয়ামীলীগের কোন চাপ নেই মন্তব্য আরিফুল হক বলেন, সকল দল তাদের অবস্থানে অনড়। এখানে ব্যক্তি আরিফ কোন বিষয় না।

অহেতুক ব্যক্তি আরিফকে নিয়ে ঢালাওভাবে মন্তব্য না করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। নিজে সিলেট মহানগরীর সকল মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বলেও উল্লেখ করেন আরিফুল হক চৌধুরী।

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে।

শনিবার পর্যন্ত মেয়র পদে পাঁচজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান এবং তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান ও সামছুন নুর তালুকদার।

সিলেটে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী দলটির মহানগর শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল শুক্রবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তবে তিনি গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:২৫ ● ১৩০ বার পঠিত




আর্কাইভ