মোবাইলে রং নম্বরে ফোনে পরিচয়-প্রেম!
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে কলেজছাত্রী নওশিন। মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নওশিন বেগম পিতা-মাতার তৃতীয় ও ছোট কন্যা সন্তান। জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ৯ নং রানীগাও ইউনিয়নের রানীগাও গ্রামের ফিরোজ আলীর ২ পুত্র কদর আলী ও উস্তার আলী। পরিবারে অভাবের তাড়নায় ছোট বেলায়ই বাড়ি ছাড়ে কদর আলী। তখন মৌলভীবাজার শহরে এসে একটি দোকানের কর্মচারী হিসেবে চাকুরী নেয়। বিভিন্ন দোকানে বয় বেয়ারার চাকরীর নিয়ে পিতার পরিবারের হাল ধরে কদর আলী। পরে বাহুবল উপজেলার লামাতশি গ্রামের নিকট আত্মীয় আবিদা খানমকে বিয়ে করে ঘরজামাই হয়ে শ^শুরবড়িতে বেশ কিছুদিন থাকার পর আবার মৌলভীবাজারে ফিরে এসে। মৌলভীবাজার শহরের বাসাভাড়া নিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। ভাড়া বাসায় বসবাস করে ব্যবসা পরিচালনা করা অবস্থায় তিন মেয়ের মধ্যে ২ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর ছোট মেয়ে নওশিন ও স্ত্রী আবিদা খানমকে নিয়ে মৌলভীবাজার শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করে এবং মৌলভীবাজার পৌরসভার এলাকার চৌমুহনায় (শমসেরনগর সড়কে) পূর্বালী ভেরাইটিজ স্টোর নামমীয় দোকান ভাড়া করে ব্যবসা করছে কদর আলী। এমতাবস্থায় গত ১০ মে সন্ধ্যায় বাইরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বরিশালের কথিত প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় নওশিন। সে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।